সৈকত ও ঝাউবন থেকে ১১৭ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য পরিষ্কার
শুক্রবার (১২ আগস্ট) আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২২ উপলক্ষ্য মহতি এই কর্মসূচি পালন করেছে ইযুথ কনসারভেশন করপস (ওয়াইসিসি)।
সকাল ১০টায় সাগরপাড়ের কবিতা চত্বরে দিনব্যাপি কর্মসূচি উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
সমুদ্র সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট পর্যন্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ১১৭ বস্তা প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কক্সবাজার পৌরসভা তা বিনষ্ট করবে।
যুব দিবসে ওয়াইসিসি’র ১২০ জন তরুণের নানামূখী আয়োজনে কক্সবাজার সাগরপাড় ছিলো মুখরিত। তারুণ্যের রঙ লালের সাজে সজ্জিত হয়ে যুব দিবসটিতে বিভিন্ন পরিবেশ সচেতন ও সংরক্ষণ কার্যক্রমে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। যা ছিল সত্যি অনুসরণীয়।
এই অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এ এম আনোয়ারুল হক, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা ইপসা, এআইটি এবং গ্রিন সেভার্স-এর প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে সুগন্ধা সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার অভিযান শেষে একটি র্যালি সুগন্ধা সমুদ্র সৈকত থেকে কলাতলী সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত যাত্রা করে। “যুব দিবসের অঙ্গীকার, পরিবেশ রাখবো পরিষ্কার” স্লোগানে মুখরিত এই র্যালিতে ওয়াইসিসি’র সদস্যের পাশাপাশি পর্যটকরাও অংশ নেন।
শেষে কলাতলী সমুদ্র সৈকতে “প্লাস্টিক, ময়লা, আবর্জনা- সৈকতে আমরা ফেলবো না” শীর্ষক একটি গণ স্বাক্ষর অভিযান পরিচালিত হয়। সেখানে স্বাক্ষর কর্মসূচিতে সহস্রাধিক পর্যটক অংশ নেন। পথসভার মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
অনুষ্ঠানটির সমন্বয় করেন ওয়াইসিসি ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো. রফিকুল ইসলাম (রাকিব কিশোর)।
উল্লেখ্য, ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস এবং ইউএসএইড এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত কমিউনিটি পার্টনারশিপ টু স্ট্রেনদেন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (কম্পাস) প্রকল্পের আওতায় ওয়াইসিসি কক্সবাজার এবং বান্দরবানের তরুণ-তরুণীদের নিয়ে কাজ করছে।
গত তিন বছর ধরে ওয়াইসিসি স্থানীয় সংস্থা ইপসা, এআইটি কক্সবাজার তাজিংডং এবং গ্রিণ সেভার্স এর সহযোগিতায় প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণসহ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।
সাধারণত ১৮-২৪ বছর বয়সী সুবিধাবঞ্চিত এবং পড়াশোনাবঞ্চিত তরুণ-তরুণী ওয়াইসিসি’র এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
Source: Parbatta News