বনভূমি রক্ষায় তরুণ জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আসতে হবে
বনভূমির গুরুত্ব ও বনভূমি রক্ষায় আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে ইয়ুথ কনজারভেশন করপস (ওয়াইসিসি) এর আয়োজনে ‘সুস্থ মন ও শরীরের জন্য সুস্থ বনভূমির প্রয়োজনীয়তা ও তরুণ-যুবদের করণীয়’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত এই ওয়েবিনারে বনভূমির সুরক্ষায় তরুণদের কর্ম উদ্যোগী হওয়ার কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বন বিভাগের উপ প্রধান বন সংরক্ষক (ডিসিসিএফ) ড. জগলুল হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএইড বাংলাদেশের অফিস অব দ্য ইকনোমিক গ্রোথ এর প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট আশরাফুল হক এবং ওয়াইসিসির সহযোগী সংস্থার পক্ষ থেকে গ্রিন সেভার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান রনি। ওয়েবিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন কমিউনিটি পার্টনারশিপস টু স্ট্রেনদেন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (কম্পাস) প্রকল্পের লিড ড. আবু মোস্তফা কামাল উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস-এর ওয়াইসিসি স্পেশালিস্ট মোফাক খারুল ইসলাম তৌফিক। ওয়াইসিসির সহযোগী সংগঠন গ্রিন সেভার্স, ইপসা, তাজিংডং, এআইটি এবং ওয়াইসিসির গ্র্যাজুয়েটস ও বর্তমান প্রশিক্ষণার্থীসহ মোট ৮৭ জন ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিসিসিএফ জগলুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের যতটুকু বন রয়েছে, সেই বনভূমিকে সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের স্থানীয় তরুণ জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আসতে হবে। ওয়াইসিসি এই কাজটিই করছে। এই ধরনের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে হবে। যারা বনভূমির পাশে বাস করেন তারা বনবিভাগের সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরকে বন সংরক্ষণ উদ্যোগে যুক্ত করা হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আশরাফুল হক বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে পরিবেশবান্ধব পেশার কথা ভাবতে হবে এবং ভবিষ্যত সুস্থ জীবনের জন্য পরিবেশ বিষয়ক কর্মকাণ্ডে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখতে হবে। ইউএসএইড বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনা মতো এই কাজে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে,’
কম্পাস প্রকল্প লিড ড. আবু মোস্তফা কামাল উদ্দিন ওয়াইসিসি তরুণদের প্রশিক্ষণ শেষে নিজ কমিউনিটিতে ফেরত গিয়ে বন সংরক্ষণে নিজেদেরকে নিয়োজিত করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।
ওয়েবিনার ছাড়াও আন্তর্জাতিক বন দিবসে ওয়াইসিসি কক্সবাজারের ৪টি উপজেলার ৬টি স্কুলের ৯০০ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন সচেতনতা কার্যক্রম, ক্লাস নেওয়া এবং ছবি আঁকা কর্মসূচির মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করেছে।
উল্লেখ্য, ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস এবং ইউএসএইড এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত কমিউনিটি পার্টনারশিপ টু স্ট্রেনদেন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ওয়াইসিসি কক্সবাজার এবং বান্দরবানের তরুণদের নিয়ে কাজ করছে। গত তিন বছর ধরে ওয়াইসিসি স্থানীয় সংস্থা ইপসা, এআইটি কক্সবাজার, তাজিংডং এবং গ্রিন সেভার্স এর সহযোগিতায় প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণসহ কারিগরি দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। সাধারণত ১৮-২৪ বছর বয়সী সুবিধাবঞ্চিত তরুণরা ওয়াইসিসির এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
Source: Bangla Tribune