টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে বন গবেষকদের
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাহাবউদ্দিন এমপি বলেছেন, ‘ জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক দিক মোকাবিলায় বন ও বনজ সম্পদ বিষয়ক গবেষণা জরুরি। তাই দেশের টেকসই উন্নয়নে গবেষকদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। সরকারের বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান ২০৩০, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১, এসডিজি ২০৩০, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন পরিকল্পনায় গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই অগ্রাধিকারকে যথাযথ কাজে লাগিয়ে দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক দিক মোকাবেলায় অবদান রাখতে হবে গবেষকদের।
বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএফআরআই) নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত গবেষণকদের জন্য ‘ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ১৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল শনিবার নগরের মুরাদপুরস্থ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের নিজস্ব মিলনায়তনে এই প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হয়। বিএফআরআই- এর পরিচালক ড. রফিকুল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. মিজানুল হক চৌধুরী এবং দাতা সংস্থা ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস এর এশিয়া প্যাসিফিক প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাস্টিন গ্রিন।
প্রশিক্ষণ কোর্সে সার্বিক সহায়তা প্রদান করে ইউএসএইড এবং ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের কম্পাস প্রোগ্রাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের জাস্টিন গ্রিন বলেন, ‘ইএস ফরেস্ট সার্ভিস যেহেতু প্রকৃতি, বন ও বনজ সম্পদ বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করে থাকে, তাই বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটকে বন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সে আমাদের এই অংশগ্রহণ। ভবিষ্যতেও ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের এ সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুল হক চৌধুরি। সমাপনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএফআরআই- এর পাবলিসিটি অফিসার এয়াকুব আলী।
Source: দৈনিক পূর্বদেশ