জনকল্যাণে গবেষকদের টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে
বাংলাদেশ বনগবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএফআরআই) নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত গবেষণকদের জন্য ‘ফরেস্ট্রি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’শীর্ষক ১৪দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠান ২ জুলাই ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনেআয়োজিতহয়।প্রধানঅতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো.শাহাবউদ্দিন এম.পি। বিএফআরআই-এর পরিচালক ড. রফিকুল হায়দারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকরেন- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ ) মো.মিজানুল হক চৌধুরী এবং জাস্টিনগ্রিন, এশিয়া প্যাসিফিক প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ইউএ সফরেস্ট সার্ভিস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী শাহাবউদ্দিন এম.পি.বলেন, ‘বর্তমানে টেকসই উন্নয়নে গবেষকদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক দিক মোকাবিলায় বন ও বনজ সম্পদ বিষয়ক গবেষণা জরুরি। সরকারের বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান ২০৩০, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১, এসডিজি ২০৩০, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভন্ন পরিকল্পনায় গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।’ নব যোগদানকৃত গবেষকদের মাধ্যমে বিএফআর আই বনবিষয়ক গবেষণায় আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউএসফরেস্ট সার্ভিসের জাস্টিন গ্রিন বলেন, ‘ইএস ফরেস্ট সার্ভিস যেহেতু প্রকৃতি,বন ও বনজসম্পদ বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। তাই বাংলাদেশ বনগবেষণা ইনস্টিটিউটকে বন বিষয়কপ্রশিক্ষণ কোর্সে সহযোগিতাপ্রদানকরতে পেরে আনন্দিত।’ভবিষ্যতেও ইউএসফরেস্ট সার্ভিসের এ সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবমো. মিজানুলহক চৌধুরি বলেন, ‘বিশ^ দরবারে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে হলে গবেষণা ছাড়া গত্যন্তর নেই। বিএফআরআই বন বিষয়কগবেষণায় ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। নব যোগদানকৃত গবেষকগণ ভবিষ্যতেও গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখবে।’
সভাপতির বক্তব্যে বিএফআরআই পরিচালক সকল প্রশিক্ষণার্থী ও অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতেও এরূপ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। সঞ্চালনা করেন সিটি অফিসার এয়াকুব আলী।
Source: সুপ্রভাত বাংলাদেশ