গবেষকদের টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএফআরআই) নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত গবেষণকদের জন্য ‘ফরেস্ট্রি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ১৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠান গতকাল শনিবার ইনস্টিটিউটের মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি। বিএফআরআইএর পরিচালক ড. রফিকুল হায়দারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) মো. মিজানুল হক চৌধুরী এবং এশিয়া প্যাসিফিক প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাস্টিন গ্রিন। প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমানে টেকসই উন্নয়নে গবেষকদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক দিক মোকাবিলায় বন ও বনজ সম্পদ বিষয়ক গবেষণা জরুরি। সরকারের বদ্বীব পরিকল্পনা , মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, এসডিজি, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ বিভন্ন পরিকল্পনায় গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। নব যোগদানকৃত গবেষকদের মাধ্যমে বিএফআরআই বন বিষয়ক গবেষণায় আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং প্রশিক্ষণ কোর্সে সার্বিক সহায়তার জন্য ইউএসএইড এবং ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের কম্পাস প্রোগ্রাম বাংলাদেশকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের জাস্টিন গ্রিন বলেন, ‘ইএস ফরেস্ট সার্ভিস যেহেতু প্রকৃতি, বন ও বনজ সম্পদ বিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। তাই বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটকে বন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সে সহযোগিতা প্রদান করতে পেরে আনন্দিত।’ ভবিষ্যতেও ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের এ সহযোগিতা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই। বিএফআরআই বন বিষয়ক গবেষণায় ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
নব যোগদানকৃত গবেষকগণ ভবিষ্যতেও গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখবে।সভাপতির বক্তব্যে বিএফআরআই পরিচালক সকল প্রশিক্ষণার্থী ও অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ প্রদান করেন এবং ভবিষ্যতেও এরূপ সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএফআরআইএর পাবলিসিটি অফিসার এয়াকুব আলী।

Source: দৈনিক আজাদী