সুন্দরবন আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. হোসনে আরা বলেছেন, আমাদের চারপাশের গাছ না থাকলে অক্সিজেনের অভাবে মানুষসহ কোনো প্রাণীই বাঁচতে পারবে না। তাছাড়া আমাদের পাশের সুন্দরবন আমাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে। সুন্দরবন না থাকলে খুলনা অঞ্চল অনেক আগেই বিধ্বস্ত হয়ে যেত। যেমন করে সকল গাছ একসঙ্গে আমাদেরকে তাদের অক্সিজেন দিয়ে, কাঠ দিয়ে, পাতা দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। তেমনিভাবে আমরা একতাবদ্ধভাবে গাছকে বাঁচিয়ে রাখব।
সোমবার ( ২১ মার্চ) আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে বন সংরক্ষণের অঙ্গীকার, টেকসই উৎপাদন ও ব্যবহার প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস; খুলনা সার্কেল বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো এবং ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস কর্তৃক বাস্তবায়িত কম্পাস প্রোগ্রামের হিউমান রিসোর্সেস অ্যান্ড এডমিনিস্ট্রেটিভ ম্যানেজার শারমিন খানম।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি ও উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. গোলাম রাক্কিবু।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একই ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. ওয়াসিউল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ওই ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. ইফতেখার শামস।
খুলনা সার্কেল বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বন সংরক্ষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, বন সংরক্ষণে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোন বনই সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। সুন্দরবন ও অন্যান্য বনগুলোতে জনগণকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের মত জনবহুল দেশে বন সংরক্ষণ একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। বন রক্ষার জন্য স্থানীয় জনগণের সহায়তার সাথে রাজনৈতিক কমিটমেন্টরও প্রয়োজন আছে। সবার যদি সদিচ্ছা থাকে, তাহলে বন সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
Source: Dhaka Times